স্বর্নমুখর কৈশোর এখন

কৈশোর (মার্চ ২০১৪)

আলমগীর সরকার লিটন
  • ১৮
সেই হাঁটুজলে সাঁতার,রঙে কাদামাখা বৈশাখ
মুখরিত কৈশোরের সূর্যচন্দ্র ঝরেছে দিবারাত;
বলো কি করে এখন আমি দেখি?স্মৃতির বর্ন,
এ অনিশ্চিত উত্তল রক্তের ধারা বয় এ শহর।
এই শহরে এসেছি একটু বেঁচে থাকা আর ক্ষুধার
নিবিরন করতে; একি দেহতে ধরলো এ কেমন
অদৃশ্য যন্ত্রনা বিধুর এক নিশিচোর নিদ্রাহীন রক্ত
পচা এলার্জি; কালচে ধূসর দীর্ঘশ্বাসে বলো কি করে
ভুলি।স্বর্ণ বিকাল সন্ধ্যা লগ্ন ঐ প্রেমযমুনার ঘাট;
স্বপ্ন বনানো হাসিমুখর, ধোঁয়া উড়ানো আড্ডা-
প্রেমযমুনার ঘাটে বহুসখে বটবৃক্ষ লেগেছিলাম
একদিন তৃষ্ণর্ত ছায়া দিবে,বছরখানিকে বেড়েছিল
যমুনার স্রোতের সাথে দুলে দুলে; হঠাৎ শুনি
অবুঝ অভাগা দুষ্ঠ ছেলের দল কেটেছে গাছটা,
না না মনে হয় ওরা কেটেছে দাদা এ আত্মাটা।

বলো এ শহর কি করে সহয়!এতো কষ্টের জল;
ঐখানে সুবিশাল বিলে বর্ষার সময় মাছ ধরতে
করতো বারণ তবুও দৃষ্টির অগোচরে যেতাম,
দেখি তখন মৃদূ জলে ভাসছে নীলপদ্ম ফুটা ফুল
সালিক বাবইয়ের কিছি মিছি গান শুনি কত;
দূরন্তপনায় ঘূর্ণিপাকে ছুটে চলা মাঠ প্রান্ত যত
রোদদুপুরে ক্রিকেট খেলায় রানা করিতাম শত,
চৈত্রের ধুধু মাঠে আমগাছের ডালে বসে বাবার
বানানো রঙ্গীন ঘুড়ি চিল,রঙের কাগজের ডোল
উড়াতাম আনন্দময় সকাল দুপুর সময় অসময়ে
তখন বাবার চোখ রাগনি ভয় জিদি হত আর।

ও ভেলকিবাজির শহর বলো!কৈশোর ফিরে পাবতো
একগেয়ামির যানজট জনসমুদ্রের খাঁখাঁ রক্তকোষ;
নবান্নে উঠানে ধানমারা খেড়ের মৌতা গন্ধ আর
বর্ষার নদী ভাঙ্গালেও নৌকার চলে ঢেউয়ে ঢেউয়ে
বাইচ খেলা,ঐ যমুনা বাঙ্গালীর বুকে বালিচরে ধার;
এ শহরে ভুলে যেতে চা্য় গ্রাম্য ধুলিমাখা কৈশোর
আমি তো পারছি না পারছি না, এ শহরে স্বর্নমুখর
গ্রাম্য কৈশোরের অচেনা আঘাত করে জোনাক জ্বালা
আঁধার আসার বোধ; ও শহর বলো! ফিরতে দিও
তুমি তো এক ছোট রুগ্র ছিন্ন পাতার ইতিহাস হবে
ঐখানের নাড়ীপোতা মাঠের কোন এককোণায় বিচারণ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রতন কুমার প্রসাদ অনেক ভালো।
দাদা অনেক ভাল লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভল থাকুন
কেতন শেখ লিটন ভাই, খুব ভালো লাগলো। জয় হোক।
হ্যা দাদা এখানেও পাবো খুবি ভাল লাগল আর সুন্দর অনুপ্রেরণার দেওয়ার জন্য অসংখ্যা ধন্যবাদ ভাল থাকুন সবসময় দাদা
সেলিনা ইসলাম শেষের লাইনটা পড়ে অদ্ভুত শিহরণ খেলে গেল মনে । চমৎকার কবিতা শুভকামনা রইল
জি আপা সুন্দর ও ভাল লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাল থাকুন-----------
ফেরদৌসী বেগম (শিল্পী ) বাহ! চমৎকারভাবে কৈশোরের চিত্রগুলো এঁকেছেন ভাই, আপনার কবিতায়। অনেক অনেক ভালোলাগা আর শুভকামনা রইলো।
জি আপা সুন্দর ও ভাল লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাল থাকুন---------
মিলন বনিক লিটন ভাই...দীর্ঘ কবিতায় সুন্দর শৈশবের বন্দনা চমত্কার ভাবে ফুটে উটেছে....খুব খুব ভালো লাগলো...শুভ কামনা...
আসল দাদা ভাল আছেন তো আপনাদের অনুপ্রেরণা তো পথ চলা অসংখ্যা ধন্যবাদ ভাল থাকুন-------
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন চমতকার ছন্দের কবিতা। ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল।
জি দাদা আপনাদের অনুপ্রেরণা তো পথ চলা অসংখ্যা ধন্যবাদ ভাল থাকুন-------
সাখাওয়াৎ আলম চৌধুরী খুবই সুন্দর ভাবনা সেই সাথে চমৎকার ভাষার কারুকাজ খুব ভালো লাগলো।
জি দাদা আপনাদের অনুপ্রেরণা তো পথ চলা অসংখ্যা ধন্যবাদ ভাল থাকুন-------
ইয়াসির আরাফাত গ্র কৈশোরের অসাধারন চিত্র এঁকেছেন নিপুণ হাতে ! আপনার প্রাপ্য না দিয়ে উপায় নেই ।
জি দাদা আপনাদের অনুপ্রেরণা তো পথ চলা অসংখ্যা ধন্যবাদ ভাল থাকুন-------
সহিদুল হক খুবই ভালো লাগলো , শুভকামনা রইলো.
জি দাদা অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য অসংখ্যা ধন্যবাদ ভাল থাকুন-------
দীপঙ্কর বেরা Sundar Chitra, koushor fute uthlo
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্যা ধন্যবাদ ভাল থাকুন

২৭ অক্টোবর - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৩২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪