সেই হাঁটুজলে সাঁতার,রঙে কাদামাখা বৈশাখ মুখরিত কৈশোরের সূর্যচন্দ্র ঝরেছে দিবারাত; বলো কি করে এখন আমি দেখি?স্মৃতির বর্ন, এ অনিশ্চিত উত্তল রক্তের ধারা বয় এ শহর। এই শহরে এসেছি একটু বেঁচে থাকা আর ক্ষুধার নিবিরন করতে; একি দেহতে ধরলো এ কেমন অদৃশ্য যন্ত্রনা বিধুর এক নিশিচোর নিদ্রাহীন রক্ত পচা এলার্জি; কালচে ধূসর দীর্ঘশ্বাসে বলো কি করে ভুলি।স্বর্ণ বিকাল সন্ধ্যা লগ্ন ঐ প্রেমযমুনার ঘাট; স্বপ্ন বনানো হাসিমুখর, ধোঁয়া উড়ানো আড্ডা- প্রেমযমুনার ঘাটে বহুসখে বটবৃক্ষ লেগেছিলাম একদিন তৃষ্ণর্ত ছায়া দিবে,বছরখানিকে বেড়েছিল যমুনার স্রোতের সাথে দুলে দুলে; হঠাৎ শুনি অবুঝ অভাগা দুষ্ঠ ছেলের দল কেটেছে গাছটা, না না মনে হয় ওরা কেটেছে দাদা এ আত্মাটা।
বলো এ শহর কি করে সহয়!এতো কষ্টের জল; ঐখানে সুবিশাল বিলে বর্ষার সময় মাছ ধরতে করতো বারণ তবুও দৃষ্টির অগোচরে যেতাম, দেখি তখন মৃদূ জলে ভাসছে নীলপদ্ম ফুটা ফুল সালিক বাবইয়ের কিছি মিছি গান শুনি কত; দূরন্তপনায় ঘূর্ণিপাকে ছুটে চলা মাঠ প্রান্ত যত রোদদুপুরে ক্রিকেট খেলায় রানা করিতাম শত, চৈত্রের ধুধু মাঠে আমগাছের ডালে বসে বাবার বানানো রঙ্গীন ঘুড়ি চিল,রঙের কাগজের ডোল উড়াতাম আনন্দময় সকাল দুপুর সময় অসময়ে তখন বাবার চোখ রাগনি ভয় জিদি হত আর।
ও ভেলকিবাজির শহর বলো!কৈশোর ফিরে পাবতো একগেয়ামির যানজট জনসমুদ্রের খাঁখাঁ রক্তকোষ; নবান্নে উঠানে ধানমারা খেড়ের মৌতা গন্ধ আর বর্ষার নদী ভাঙ্গালেও নৌকার চলে ঢেউয়ে ঢেউয়ে বাইচ খেলা,ঐ যমুনা বাঙ্গালীর বুকে বালিচরে ধার; এ শহরে ভুলে যেতে চা্য় গ্রাম্য ধুলিমাখা কৈশোর আমি তো পারছি না পারছি না, এ শহরে স্বর্নমুখর গ্রাম্য কৈশোরের অচেনা আঘাত করে জোনাক জ্বালা আঁধার আসার বোধ; ও শহর বলো! ফিরতে দিও তুমি তো এক ছোট রুগ্র ছিন্ন পাতার ইতিহাস হবে ঐখানের নাড়ীপোতা মাঠের কোন এককোণায় বিচারণ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।